
এবিএম কাইয়ুম রাজ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সৌদি প্রবাসী গোলাম মোস্তফার কষ্টার্জিত ৩৬ লাখ টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে নুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের এবং তার ভাই আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ তুলে ধরেন।
গোলাম মোস্তফা জানান, নুরনগর ইউনিয়নের রামজীবনপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে ও তার খালাতো ভাই আব্দুল কাদের জমি বিক্রির কথা বলে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় তার কাছ থেকে ৩২ লাখ টাকা নেন। একই প্রলোভনে আবুল হোসেন নেন আরও ৪ লাখ টাকা। ২০২২ সাল থেকে মোট ৩৬ লাখ টাকা নেওয়া হলেও তারা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না, এমনকি জমির কোবলা রেজিস্ট্রিও সম্পন্ন করেননি। এতে তিনি সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি জানান, সৌদি আরবে উপার্জিত অর্থের পাশাপাশি তার ভাই সাদ্দাম হোসেনের প্রবাস আয় ও বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার নেওয়া টাকা মিলিয়ে তিনি এই দেনদেন করেন। প্রতারণার শিকার হয়ে এখন তিনি পরিবারসহ দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবন কাটাচ্ছেন। মাটির ঘরের উপর পলিথিন দিয়ে ২ বিবাহযোগ্য কন্যা, এক শিশু কন্যা, স্ত্রী ও বয়োবৃদ্ধ মাকে নিয়ে অসহায়ভাবে বসবাস করছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আব্দুল কাদের তার ছেলে এসএম সামুনকে (বিদ্যুৎ) পুলিশের চাকরি দেওয়া সহ বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণে এই টাকা খরচ করেছেন। প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা কোনো অগ্রগতি না করে বরং গোলাম মোস্তফাকে নানা বিপাকে ফেলেছেন।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও ৯ জন সদস্যের উপস্থিতিতে তদন্ত পরিচালিত হয়। তদন্তে ৩৬ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—টাকা আত্মসাৎ করে গোলাম মোস্তফাকে চরম মানবিক সংকটে ফেলেছেন আব্দুল কাদের ও আবুল হোসেন।
সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুনের স্বাক্ষরিত রিপোর্টেও প্রতারণার অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সৌদি প্রবাসী গোলাম মোস্তফা তার কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :