
এবিএম কাইয়ুম রাজ, সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ১৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শরুব ইয়ুথ টিমের আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় কাশিমাড়ী ইউনিয়নের উপকূলীয় গুচ্ছগ্রাম এলাকায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক তরুণ অংশ নেন।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান উৎস। শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন খাতে অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোর যুদ্ধ–সহায়তা, নব্যঔপনিবেশিক শোষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই এ বিনিয়োগ বন্ধ করা সম্ভব।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তরুণরা কপ ৩০–কে সামনে রেখে “আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করোনা”, “জলবায়ু সুবিচার চাই”, “জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর”, “নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বাড়াও”—এমন নানা স্লোগানের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস. এম. জান্নাতুল নাঈম বলেন, “পশ্চিমা বিশ্বের কর্মকাণ্ড জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বাড়াচ্ছে। পৃথিবীকে রক্ষায় তাদের আচরণ পরিবর্তন এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান জরুরি।” শরুবের ভলান্টিয়ার আবিদ হোসেন জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগই জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। জলবায়ু কর্মী রাশিদুল ইসলাম বলেন, শুধু উন্নত দেশ নয়, বাংলাদেশ সরকারকেও দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কর্মসূচিতে উপকূল কন্যা জেবা তাসনিয়া, অর্পিতা মণ্ডল, হালিমা খাতুন, উম্মে সালমা, রাজীব বৈদ্য, আব্দুস সালাম, শামীম হোসেনসহ শরুব ইয়ুথ টিমের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :