সাংস্কৃতিক ঐক্যই হতে পারে জুলাই বিপ্লবের পাহারাদার


প্রকাশের সময় : আগস্ট ৩, ২০২৫, ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ
সাংস্কৃতিক ঐক্যই হতে পারে জুলাই বিপ্লবের পাহারাদার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সেমিনার ও কবিকন্ঠে কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদযাপন করলো কবিতা বাংলাদেশ। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার হলে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বক্তারা বলেন, মানবিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক ঐক্যই হতে পারে জুলাই বিপ্লবের পাহারাদার।

 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক শাহীন হাসনাত।

প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান।

ড. ফজলুল হক তুহিনের পরিচালনায় সেমিনারে আলোচনা করেন ড. মাহবুব হাসান, কবি জয়নুল আবেদীন আজাদ ও ড. ইয়াহইয়া মান্নান।

 

সেমিনারের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা যা বিশ্বাস করে আচরণ করি সেটাই সংস্কৃতি আর যেভাবে জীবন যাপন করি সেটাই সভ্যতা। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আমাদের বিশ্বাস বা ধর্মমগ্নতা থেকেই আমাদের সংস্কৃতি বিকশিত। এই সংস্কৃতির বন্ধনই আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে দিয়েছে। মানবিক সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ধরে রাখতে না পারলে এই ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই আমাদের ইনসাফ পূর্ণ সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।

 

প্রবন্ধ আলোচনায় ড. মাহবুব হাসান বলেন, হাজার বছর আগেই আমরা যে সাংস্কৃতিক চৈতন্য ধারণ করেছি তা ইউরোপীয় সংস্কৃতি থেকে এগিয়ে। আমাদের চারপাশে অমুসলিম দেশ। তাই আমাদের ধর্মবিশ্বাস ও স্বতন্ত্র জাতিসত্তা বজায় রাখতেই আলাদা স্বাধীন দেশ গড়ে তুলেছি।

 

কবি ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব জয়নুল আবেদীন আজাদ বলেন, বিজ্ঞান প্রযুক্তিও বন্দেগীর কাজ; সৃষ্টি জগতকে ধারণ করবে বান্দারা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সৃষ্টিশীল করেছে।

সংকীর্ণতার নয় আমাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করতে হবে। ত্রুটিধর নয় সংশোধন ও মানবিকতাই হোক আমাদের নতুন সাংস্কৃতিক বন্দবোস্ত।

 

পঠিত প্রবন্ধে শাহীন হাসনাত বলেন, প্রজন্মের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে একটি হেরিটেজ মিউজিয়াম গড়ে তুলতে হবে।যেখানে থাকবে

আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়।

নৃতাত্বিক পরিচয়ের ধারাক্রম

ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্রের নির্মান ও বিকাশ পর্ব। অতিক্রান্ত রাজনৈতিক ইতিহাস। সাংস্কৃতিক বিকাশের পরাম্পরার তথ্যচিত্র।

যে কেউই হেরিটেজ মিউজিয়াম পরিদর্শনের মাধ্যমে জানতে পারবে বাংলা সালতানাতের ঐশ্বর্যের গৌরবগাঁথা।

অনুষ্ঠানের শেষে তিনটি পর্ব ছিল কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ। প্রথম পর্বে সভাপতি ছিলেন কবি মোশাররফ হোসেন খান, অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, কবি শরীফ আবদুল গোফরান, কবি ইব্রাহিম মন্ডল প্রমুখ। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন কবি সোলায়মান আহসান। অতিথি ছিলেন কবি নাসির হেলাল, কবি জাকির আবু জাফর, কবি মনসুর আজিজ। তৃতীয় পর্বের সভাপতি ছিলেন কবি হাসান আলীম। অতিথি ছিলেন কবি সাইফুল্লাহ শিহাব,কবি কামরুজ্জামান, কথাশিল্পী মঈন শেখ, গবেষক ড. সায়ীদ ওয়াকিল প্রমুখ।

পুরো অনুষ্ঠানটি তত্ত্বাবধান করেন কবিতা বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।