কিশোরগঞ্জের টিসিবির চালের বস্তায় আজও শেখ হাসিনার স্লোগান


প্রকাশের সময় : মে ১৮, ২০২৫, ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ
কিশোরগঞ্জের টিসিবির চালের বস্তায় আজও শেখ হাসিনার স্লোগান

মোঃ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

ফ্যসিস্ট শেখ হাসিনা গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে থাকলেও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে টিসিবির চালের বস্তায় আজও লেখা শেখ হাসিনার স্লোগান “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ” ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ”। চালের বস্তায় তার এমন স্লোগানকে ঘিরে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা গ্রহণের দাবী জানান। সরেজমিনে গত চারদিন ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মিলে উপজেলার টিসিবির চাল বিতরণকারী বিভিন্ন ডিলারদের দোকানে।

 

খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) আওতায় উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ডাল, তেল, ছোলা, চিনিসহ চাল বিতরণ চলছে। ১১ হাজার ১১৮ জন সুবিধাভোগী ৫ কেজি করে মোট ৫৫ টন ৫৯ কেজি চাল পাচ্ছেন। এসব চালের বস্তায় শেখ হাসিনার নামসহ ¯শ্লোগান জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। অথচ গত ২৭ নভেম্বর এ ধরনের বিতর্কিত স্লোগান লেখা বস্তায় কালি দিয়ে মুছে দিতে হবে ও ব্যবহার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন খাদ্য অধিদপ্তর। কিন্তু স্থানীয় খাদ্য অধিদপ্তর বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে তার স্লোগান প্রচারে পঞ্চমূখর। মনে হয় তারা ফ্যাসিস্টের পেতত্না।

 

 

কথা হলে বড়ভিটা ইউনিয়ন টিসিবির ডিলার নুরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে তারপরও খাদ্যবান্ধবের বস্তার গায়ে শেখ হাসিনার নাম কেন থাকবে, কিন্তু কতৃপক্ষের উদাসীনতায় আজও চালের বস্তায় শেখ হাসিনার স্লোগান। যা বিষয়টি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্ সহ জননমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৫ই আগস্টের পর মানুষের যে আশা আকাঙ্খা ফ্যাসিস্টের এমন স্লোগান তা বাধাগ্রস্থ করেছে।

 

উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি অস্বীকার বলেন, শ্রমিকদের নির্দেশ দেওয়া আছে কালো কালি দিয়ে লেখাটি মুছে দেয়ার জন্য। গোডাউনে হাজার হাজার বস্তা আছে এরমধ্যে দুই একটি বস্তা হয়ত বাদ পড়েছে।

 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌহিদূর রহমান বলেন, গোডাউনে কোটি কোটি বস্তা আছে, আমরা কালি দিয়ে মুছে দেয়ার চেষ্টা করছি। দুই চারটি বস্তা মিসিং হতেই পারে।