আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। দুখু মিয়া নামেই যার শৈশবের পরিচিতি, তিনিই পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন বাঙালির বিদ্রোহ ও চিরপ্রেমের কণ্ঠস্বর।
জাতীয় পর্যায়ে দিনটি উদযাপন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এবারের জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য— ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’, যা কবির সংগ্রামী আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার প্রয়াস।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত কুমিল্লায় বিশেষ আয়োজন চলছে। আজ বিকেল ৩টায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী এবং কবির পৌত্রী ও ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান খিলখিল কাজী। স্মারক বক্তৃতা করবেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
এই আয়োজনে ‘নজরুল পুরস্কার ২০২৩ ও ২০২৪’ তুলে দেওয়া হবে মনোনীত গুণীজনদের হাতে।
এছাড়া আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘চেতনা ও জাগরণে নজরুল’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে থাকবে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তির মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা।
বিদ্রোহের পাশাপাশি প্রেমে ডুবে থাকা নজরুল ছিলেন মানবতাবাদের এক উজ্জ্বল মশাল। আজকের দিনে তারই কবিতার মতো করে আমরা তাকে স্মরণ করি—
“আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন, খুঁজি তারে আমি আপনায়।
আপনার মতামত লিখুন :