১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে যুববন্ধন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১২, ২০২৫, ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ
১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে যুববন্ধন

মোমিনুর রহমান, শ্যামনগর:

 

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর তীরে উপকূল দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে ‘উপকূলের জন্য হোক একটি দিন, জোরালো হোক উপকূল সুরক্ষার দাবি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শ্যামনগর কাশিমাড়ী খোলপেটুয়া নদীর তীরে কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্কের যুব ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী অংশগ্রহণে যুববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় উপকূলীয় যুব সেচ্ছাসেবী সংগঠন কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক এই যুববন্ধনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠিত যুববন্ধনে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত ও উপকূলবাসীর স্বার্থ সুরক্ষায় ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।

 

কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্কের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন দাসের সঞ্চালনায় উক্ত যুববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফারজানা ইসলাম, মাহফুজ রহমান, সাহেব আলী, মাসুদ হাসান, আবিদ হাসান,রশ্মি বিনতে জামান, সুমন হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলে অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের বিপুল জনগোষ্ঠী জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তা সত্ত্বেও উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলের বহু এলাকা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। উপকূলবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি দিবস ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। উপকূল দিবস ঘোষণা করা হলে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে উপকূলের গুরুত্ব বাড়বে। এর মাধ্যমে উপকূলের সুরক্ষা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর অধিকার ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

 

এই যুববন্ধন কর্মসূচি থেকে জলবায়ু বিপন্ন উপকূল সুরক্ষায় ০৭ দফা দাবি তুলে ধরে যুব,স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

দাবি সমূহ:-

১) ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসাবে রাষ্টীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

২) উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে এবং টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩) লবনাক্ততার আগ্রাসন বন্ধ করতে টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ ,রক্ষণাবেক্ষণ ও পুর্ননির্মাণ ব্যাবস্থা করতে হবে।

৪) উপকূলবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য পযাপ্ত সাইক্লোন সেন্টারের ব্যবস্থা করা এবং সরকারি সেবায় সুপেয় পানি নিশ্চিত করা ও টেকসই ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) জাতীয় বাজেট উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় সরকারকে জাতীয় ভাবে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।

৬) সুন্দরবন ও তার জীব-বৈচিত্র্য সুরক্ষায় কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এ অঞ্চলের কৃষি জমি ও চিৎড়ি চাষের জন্য আলাদা-আলাদা অর্থনৈতিক জোন তৈরি করে খাদ্য ব্যবস্থা রক্ষা করতে হবে।

৭) দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দূর্যোগ প্রবণ এলাকা ঘোদষণা করতে হবে।

বক্তারা অবিলম্বে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষণা ও তাদের ০৭ দফা দাবি পূরনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।