শ্যামনগরের আলোকবর্তিকা মাওলানা আব্দুর রহমান


প্রকাশের সময় : মে ১৮, ২০২৫, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
শ্যামনগরের আলোকবর্তিকা মাওলানা আব্দুর রহমান

এবিএম কাইয়ুম রাজ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

শ্যামনগরের মানুষ ও মাটির সঙ্গে যাঁর গভীর সম্পর্ক, তিনি মাওলানা আব্দুর রহমান। ইসলামি আদর্শ, মানবিক মূল্যবোধ ও সমাজসেবাকে জীবনের অংশ করে নেওয়া এই মানুষটি শুধু জামায়াতে ইসলামির উপজেলা আমির নন—তিনি হয়ে উঠেছেন জনসাধারণের নির্ভরতার প্রতীক।

 

সরল জীবনযাপন ও প্রজ্ঞাপূর্ণ চিন্তাধারায় তিনি বরাবরই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মসজিদের ইমামতি কিংবা সাংগঠনিক দায়িত্বের বাইরে থেকেও মানুষের মুখে হাসি ফোটানোকে তিনি দেখেন পরম আনন্দ হিসেবে।

 

উপকূলীয় এই জনপদে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন বিপর্যস্ত জীবন, তখন আব্দুর রহমান ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা লকডাউনের সংকটে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ছুটে গেছেন মানুষের কাছে। শুধু খাদ্য নয়, দিয়েছেন সাহসও। নিরবে হয়েছেন মানুষের ভরসার জায়গা।

 

শিক্ষা ও নৈতিকতার প্রসারে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তরুণদের নৈতিক ও মানবিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের সঞ্চয় থেকে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার দৃষ্টান্তও রেখেছেন তিনি।

 

রাজনীতি তাঁর কাছে ক্ষমতার নয়, বরং সেবার ক্ষেত্র। ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি এলাকার বিবাদ মীমাংসা, দরিদ্রের চিকিৎসা সহায়তা কিংবা অসচ্ছল পরিবারের মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব—সবকিছুতেই দেখা মেলে তাঁর মানবিক উপস্থিতি।

 

“আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, তাদের দোয়াই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন,”—বলেছেন তিনি।

 

স্থানীয়রা বলেন, তিনি শুধু একজন নেতা নন, একজন অভিভাবক। দল-মতের উর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যেন তাঁর নীতি।

 

মাওলানা আব্দুর রহমান শ্যামনগরের এক নীরব আলোকবর্তিকা। সমাজের কল্যাণে তাঁর এই নিরলস প্রয়াস হয়ে উঠুক দেশের প্রতিটি প্রান্তে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।